top of page

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের ছাত্রী স্বর্ণা আক্তারের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                                           স্বর্ণা আক্তার  

আমি  স্বর্ণা আক্তার, থাকি ফারিদপুর। রাজেন্দ্র কলেজ থেকে অনার্স .পাশ করেছি। বর্তমানে একটি কোম্পানিতে SEO Expart হিসেবে ফুল টাইম জবে কর্মরত আছি।

আমার ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা বলতে গেলে  আমি ফারিদপুরের একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ শিখে নিলাম। তখন থেকেই মুলত ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করা।

কিন্তু আমি কোনভাবেই এই আর্নিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। ভাবতাম এমন কিছু কি করা যায় না যেটা আমার সাবজেক্টের সাথে মিলে। যে কাজ করলে আমি একটা সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবো। তাই অনেক ভেবে চিন্তে এসইও শেখার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু নিজে নিজে এভাবে শিখে আমার নলেজ বেশিদূর এগোতে পারছিলো না। তাই এমন একজনকে খুজছিলাম যে নিজেও কাজ করছে আর আমাকেও হাতে কলমে কাজ শিখাতে পারবে।

এর মধ্যে একদিন ফেসবুকে আকাশ ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে পারলাম আর সেখান থেকেই মূলত এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর সাথে আমার পরিচয়। এরপর খোজ নিলাম। তখনই নিশ্চিত হলাম, এডাল্ট আইটি লিমিটেডই পারবে আমাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে।

এরপরই এসইও কোর্সে ভর্তি হলাম। আমার যেহেতু ওডেস্কে আগেই ভাল ফিডব্যাক ছিল তাই কাজ পেতে তেমন সময় লাগে নি। সম্ভবত কোর্স শেষ করার ১-২ মাসের মধ্যে এসইও রিলেটেড প্রথম কাজ পেয়েছিলাম এবং সেই কাজে আমি 5 স্টার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক পাই। আমি এখন পর্যন্ত ওডেস্কে 5 টার মত কাজ কমপ্লিট করেছি।

বর্তমানে আমি যেই কোম্পানির সাথে কাজ করছি এরাই আমাকে সবসময়ই কাজ দেয়। তাই ওডেস্কে নিয়মিত কাজ করা হয় না। তবে ওডেস্কে  আমার দুই-তিনটা ফিক্সড ক্লাইন্ট আছে। মাঝে মাঝে তাদের কাজ করে দেই।

এখন এই ফ্রিলান্সিংটাই আমার পেশা। ভবিষ্যত নিয়ে বলতে পারবো না তবে ফ্রিলান্সিং করতেই থাকব পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম।

আর এডাল্ট আইটি লিমিটেড সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, তবে আমি সারা জীবন এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর মেম্বারদের বিশেষ করে আকাশ ভাই এর কাছে ঋণী হয়ে থাকব। আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে যা করেছি তা সবই ওনাদের অবদান। ধন্যবাদ এডাল্ট আইটি লিমিটেড ।

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র সমিকুল ইসলামের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                                                    সমিকুল ইসলাম

ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে প্রথম পরিচয় আমার গত বছর (২০১৫) নভেম্বর  মাসে। প্রথম দিকে এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ভাগ্যক্রমে একদিন ফেসবুকে একটা পেজ এ লাইক দেই । সেখানে অনেক রকম পোস্ট এবং কমেন্ট পড়ি। বলতে গেলে সেখান থেকেই একটু একটু করে জ্ঞান লাভ হয়। তার পর ঐখান থেকে রায়হান নামক এক ভাই আমাকে ইমেইল খুলে দেয়ার কাজ দেয়। মূলত ঐ কাজটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং কাজ। ঐখান থেকে কথা হয় আকাশ নামক আরেক ভাইয়ের সাথে। সে আমাকে কিছু ডাটা এন্ট্রির কাজ দিতো করার জন্য এবং পাশাপাশি এ ব্যাপারে অনেক পরামর্শ দিতো। আর সেখান থেকেই এসইও শিখার প্রতি একটা ঝোক মাথায় আসলো। গুগলে সার্চ করে করে অনেক কিছুই শিখলাম কিন্তু সত্যি বলতে কি অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোন উপায় না পেয়ে একটা ভালো ইনস্টিটিউট খোজা শুরু করলাম।

 

ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম এডাল্ট আইটি  কে। অনেকটা কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে ভর্তি হলাম আকাশ ভাইয়ের ক্লাসে। তবে প্রথমে ভয়ে ছিলাম টাকা সব জলে গেলো না তো! কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এতদিন অযথাই সময় নষ্ট করেছি। এরপর অ্যাডভান্সড লেভেলে আকাশ ভাই ক্লাস পরিচালনা করেন।

অবশেষে যত কনফিউশন ছিল সব সমাধান হল। তারপর মার্কেট এ কাজ খোজা শুরু করলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ পেয়েও গেলাম। প্রথম কাজটা শেষ করে দ্বিতীয় কাজও পেলাম।আমার কাজটা ক্লায়েন্ট এতই পছন্দ করেছিল যে সে আমাকে পরবর্তিতে ফুল টাইম জব অফার করে তাও মার্কেটপ্লেসের বাহিরে। আমার ক্লাইন্টের বিশাল এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট বিজনেস। তিনি আমাকে প্রতি মাসে অগ্রিম পে করে তাই পেমেন্ট নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা মাথায় আসে না। ক্লাইন্ট তার সব ডেভলপিং এবং অন্যান্য সব কাজ আমাকে দিতে লাগলো। সুসংবাদ হল এখন আমার ক্লাইন্ট আমাকে তার বিজনেসের পার্টনার বানাতে চাচ্ছে।

 

ভাবতেই ভাল লাগে আমি এই বয়সে নিজে অনলাইনের কাজ করে আয় করছি এবং আরও কয়েক জনকে টাকা উপার্জনের পথ করে দিয়েছি আল্লাহর রহমতে। এখন এটাই আমার পেশা ও নেশা।

যারা ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুন অথবা কাজ করতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা বা উপদেশ-

 

১। প্রবল ইচ্ছা না থাকলে আপনি এই সেক্টরে বেশীদিন টিকে থাকতে পারবেন না।

২। আপনার ইচ্ছার সাথে ধৈর্য্য অবশ্যই লাগবে।

৩। গুগল কে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে তবে মার্কেটে ভালো কিছু করতে হলে এক্সপার্টদের      শরণাপন্ন অবশ্যই হতে হবে।

৪। ১০০% সৎ থাকতে হবে নয়তো যে কোন সময় আপনার ক্যারিয়ার ধস নেমে যাবে।

৫। মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে মোটামুটি টাইপের জ্ঞান এখন আর কাজে লাগে না।

পরিশেষে আমি এডাল্ট আইটি লিমিটেড প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের সঠিক গাইডলাইন আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং নতুনদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র আনোয়ার হোসেনের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                        আনোয়ার হোসেন

প্রথমে আমার পরিচয় দিয়ে শুরু করছি, আমি আনোয়ার হোসেন। রাজবাড়ী সরকারী কলেজের  প্রফেসর । বর্তমানে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার, আজ আমি আপনাদের আমার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারের গল্পটা জানাবো।

সরকারী চাকুরী হলেও যা মাইনে পেতাম তা দিয়ে মোটামুটি ভাবে সংসার চলে যেত কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপনের বাইরে নিজেকে সবদিক দিয়ে গুছিয়ে শখগুলো কোনভাবেই পুরন করা হয়ে উঠতো না। একপর্যায়ে ভাবলাম শেয়ার ব্যবসা শুরু করলে কেমন হয়, অবশেষে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করে আমি ব্যবসা শুরু করলাম।

সবকিছু মোটামুটি ভালই চলছিলো কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক কিছু ভুলে কিছুদিনের মধ্যেই আমার ব্যবসাতে ধস নামলো আর আমি আবার সেই আগের জায়গাতে ফিরে এলাম। নতুন করে চিন্তা কাজ করছে, কি করে আমার সংসার চলবে আর তার উপর আবার ব্যাংকের ঋণের বোঝা। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। শেষমেষ যোগদান করলাম ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডে, যার সম্বন্ধে কম বেশি সবাই জানেন। বলতে গেলে সেখান থেকেও আমি নিরাশ হয়ে ফিরলাম। এরপর আমার গ্রামের বাড়ির একজন আত্মীয় আমাকে বললো, সে ডুলান্সার.কমে কাজ করতে চায়, এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে ৭৫০০/-টাকা খরচ হবে আর প্রতি দিন ৫০ ডলার আয় হবে। করবে কিনা? আমি এসব বিষয়ে জানা না থাকায় সায় দিলাম না। আমার কাছে বিষয়টা ভালো লাগলো না, যথেস্ট সন্দেহ হওয়ায় এই কোম্পানিকে ভণ্ড বলে মনে হল। । আমার আত্মীয়কে সরাসরি জানিয়ে দিলাম যে, আমি কাজটা করবো না।

যেভাবে আমি ফ্রীলান্সার জগতে প্রবেশ করলাম:

খোঁজাখুজি চালু রাখলাম, সময়টা ছিল ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের দিকে প্রথম আলোতে বিডিএসওএন পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর উপর সেমিনার হবে এমন নিউজ পড়লাম। দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম ওখানে জয়েন করবোই। ঠিক সময় মতো আমি ওখানে পৌঁছে গেলাম সেমিনারে জানতে পারি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সুযোগ কেমন, কি কি জানতে হয়, কিভাবে শুরু করা যেতে পারে জানলাম বিস্তারিত।

সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম, আমাকে যেভাবেই হোক কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নামতে হবে। কিন্তু এখন মাথায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ভর করলো, কাজ কোথা থেকে শিখবো? কোন ধারনাই ছিলো না এসব বিষয়ে। এর ১ বছর পর আমি সন্ধান পেলাম এডাল্ট আইটি লিমিটেডর। সময় করে চলে গেলাম এডাল্ট আইটিতে, পরিচয় হল আকাশ সাহেবের সাথে যিনি ওখানকার সিইও এবং একজন বড় মাপের ইন্টারনেট মার্কেটার। আমার কাছে মনে হল সত্যি অসাধারণ একজন ইনফ্লুয়েন্সার উনি। বুঝিয়ে দিলেন কোন কাজটা আমার জন্য ভালো হবে, কিভাবে শুরু করতে পারি এসব বিষয়ে। উনার উপদেশ ছিলো এসইওটাই যেন ভালো করে শিখি। ভর্তি হয়ে গেলাম, আমার আর্থিক সমস্যার কারনে উনি আমাকে কিস্তিতে তাদের কোর্স ফি দেবার ব্যবস্থা করে দিলেন, সেখান থেকেই শুরু।

 

 

কোর্স চলাকালীন কিছু মডিউল শেষে আকাশ সাহেব আমাদের উপদেশ দিলেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে, সোশ্যাল প্লাটফর্ম আর ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম গুলোতে একটিভ হতে। আমি খুব ভালো করে জানতাম মার্কেটপ্লেস গুলোতে কিভাবে কাজ করবো। একদিন উনার পার্সোনাল মেন্টরিং নিয়ে ওডেস্ক.কমে প্রোফাইল সাজিয়ে বিড করা শুরু করলাম। প্রথম দিকে কাজ পাচ্ছিলাম না, এরি মধ্যে একদিন আমার স্ত্রী বলল যে এইসব বাদ দিয়ে অন্য কোন পার্ট টাইম কাজ খুজতে। আমি তাতে হতাশ হয়নি বরং তাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি যে, এটি একমাত্র কাজ যা করে খুব স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। বিড করতে করতে একদিন হুট করে একটি কাজ পেয়ে গেলাম আর কাজটি ছিল কিওয়ার্ড রিসার্চের। সেটি ছিল আমার প্রথম কাজ আর তাহের সাহেবের সাহায্যে আমি খুব  ভালো করে কাজটি শেষ করতে পারেছিলাম।

এরপর আর আমাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। এখন আমি খুব সুনামের সাথে আমার কাজ করে যাচ্ছি আর মার্কেটপ্লেসে আমার প্রতি ঘণ্টার মূল্য এখন ৮০০ টাকা , আর এখন পর্যন্ত আমি প্রায় ৩০০$ ডলারের মতো ইনকাম করেছি। এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে একমাত্র এডাল্ট আইটির কল্যাণে আর আমার সাথে সমসময় আমি আকাশ সাহেবকে পেয়েছি।

সত্যি আমি তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ, তার সাহায্য না পেলে হয়তো কোনদিন আমি এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। শুভকামনা এডাল্ট আইটির পড়িবারের সকলের জন্য……ধন্যবাদ।

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র প্রলয়  রায়ের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                              প্রলয়  রায়

আমি প্রলয়  রায় থাকি ফারিদপুর। ফিয়েট  থেকে Diploma in Eng. পাশ করেছি। বর্তমানে Smart Sites নামক একটি কোম্পানিতে WordPress Developer হিসেবে ফুল টাইম জবে কর্মরত আছি।

আমার ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা বলতে গেলে ফিয়েট এর ১ম বর্ষে থাকা অবস্থায়। যদিও ডিপ্লোমাতে আমার সাবজেক্ট ছিলো কম্পিউটার, কিন্তু তেমন কোন প্রাক্টিক্যাল নলেজ আমার ছিল না। আর ফিয়েট এ প্রথমদিকে বেশিরভাগই থিওরি পড়াতো। তাই আমি ফারিদপুরের একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ শিখে নিলাম। তখন থেকেই মুলত ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করা।

 

প্রথম দিকে মাইক্রোওয়ার্কারসে কাজ করতাম। এরপর আপওয়াকে কাজ করা শুরু করি। পার্ট টাইম ডাটা এন্ট্রি কাজ করে সেই সময়ে মাসে ২০০০-৩০০০ টাকার মত ইনকাম করতাম। কিন্তু আমি কোনভাবেই এই আর্নিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। ভাবতাম এমন কিছু কি করা যায় না যেটা আমার সাবজেক্টের সাথে মিলে। যে কাজ করলে আমি একটা সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবো। তাই অনেক ভেবে চিন্তে ওয়েব প্রোগ্রামিং শেখার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু নিজে নিজে এভাবে শিখে আমার নলেজ বেশিদূর এগোতে পারছিলো না। তাই এমন একজনকে খুজছিলাম যে নিজেও কাজ করছে আর আমাকেও হাতে কলমে কাজ শিখাতে পারবে।

এর মধ্যে একদিন ফেসবুকে আকাশ ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে পারলাম আর সেখান থেকেই মূলত এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর সাথে আমার পরিচয়। এরপর খোজ নিলাম। তখনই নিশ্চিত হলাম, এডাল্ট আইটি লিমিটেডই পারবে আমাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে।

এরপরই ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট কোর্সে ভর্তি হলাম। আমার যেহেতু ওডেস্কে আগেই ভাল ফিডব্যাক ছিল তাই কাজ পেতে তেমন সময় লাগে নি। সম্ভবত কোর্স শেষ করার ১-২ মাসের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড প্রথম কাজ পেয়েছিলাম এবং সেই কাজে আমি 5 স্টার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক পাই। আমি এখন পর্যন্ত ওডেস্কে ৩০ টার মত কাজ কমপ্লিট করেছি।

বর্তমানে আমি যেই কোম্পানির সাথে কাজ করছি এরাই আমাকে সবসময়ই কাজ দেয়। তাই ওডেস্কে নিয়মিত কাজ করা হয় না। তবে ওডেস্কে  আমার দুই-তিনটা ফিক্সড ক্লাইন্ট আছে। মাঝে মাঝে তাদের কাজ করে দেই।

এখন এই ফ্রিলান্সিংটাই আমার প্রধান পেশা। ভবিষ্যত নিয়ে বলতে পারবো না তবে ফ্রিলান্সিং করতেই থাকব পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম।

আর এডাল্ট আইটি লিমিটেড সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, তবে আমি সারা জীবন এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর মেম্বারদের বিশেষ করে আকাশ ভাই এর কাছে ঋণী হয়ে থাকব। আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে যা করেছি তা সবই ওনাদের অবদান। ধন্যবাদ এডাল্ট আইটি লিমিটেড ।

bottom of page